মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খোঁজাখুজি করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সঠিক কোন তথ্য খুঁজে পাননি। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। আর্টিকেল এর মধ্যে আমরা বিস্তারিতভাবে মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
আপনি যদি মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে ও জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আশা করছি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি উপকৃত হবেন।

পোস্ট সূচীপত্র: মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন

উপস্থাপনা মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার 

মুখের ব্রণ হওয়া খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। জীবনে কখনো মুখে ব্রণ হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। সব মানুষই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে মুখে ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন। ব্রণ হলে নিজের কাছেই অস্বস্তিকর লাগে। প্রতিটা মানুষই চায় তার চেহারা হোক সুন্দর। কিন্তু মুখে ব্রণ উঠলে একদমই ভালো দেখায় না। মুখে ব্রণ হওয়ার ফলে যেমন নিজের কাছেই খারাপ লাগে। ঠিক তেমনি অন্যরাও এটা নিয়ে সমালোচনা করে। 

অনেকে আবার মুখে অতিরিক্ত ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন। ব্রণ আমাদের চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট করে। মুখে ব্রণ উঠলে ব্রণের প্রভাবে আমাদের মুখে নানা রকম সমস্যা হয়ে থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা অনেকেই জানিনা আমাদের মুখে ব্রণ কেন হয় বা মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ কি। আপনাদের এই সমস্যার কথা চিন্তা করে আজকে আমরা মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তথ্য মূলক আলোচনা করব। এছাড়াও কিভাবে ব্রণের সমস্যা প্রতিকার করা যাবে সেটা নিয়েও আলোচনা করব। 

এগুলো ছাড়াও এ আর্টিকেলের মধ্যে আমরা গালে ব্রণ হওয়ার কারণ, কি খেলে ব্রণ দূর হয়, কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়, মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত, কোন হরমোনের কারণে ব্রণ হয় সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আপনি যদি ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়

ব্রণের সমস্যা আমাদের মুখের জন্য মারাত্মক একটি সমস্যা। ব্রণের প্রভাবে মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। প্রতিটা মানুষই কম বেশি ব্রণের সমস্যায় ভুগেন। তবে বেশিরভাগ মানুষই জানেন না শরীরে কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়। সেজন্য ব্রণ নিরাময় করতে পারেন না। মুখে ব্রণ কেন হয় বা কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় এই প্রশ্নটা সবার মনেই ঘুরপাক খায়। কারণ আমরা যদি আগে থেকেই জানতে পারি কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় তাহলে মুখে ব্রণের সমস্যা হওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে পারব। 

তাই আপনাদের সমস্যার কথা চিন্তা করে আমরা কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় সেটা নিয়ে এখন আলোচনা করবো। প্রধানত ভিটামিন-এ এর অভাবে মুখে ব্রণ হয়। অর্থাৎ আমাদের শরীরে ভিটামিন-এ এর ঘাটতি দেখা দিলে মুখে ব্রণ উঠে। কারণ ভিটামিন-এ আমাদের ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং আমাদের ত্বককে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। সে কারণে শরীরে ভিটামিন-এ এর ঘাটতি দেখা দিলে মুখে ব্রণ উঠতে শুরু করে । 

যাদের শরীরে ভিটামিন-এ এর ঘাটতি বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে তাদের মুখে অতিরিক্ত ব্রণ উঠতে পারে। মোটকথা আমাদের শরীরে ভিটামিন-এ এর অভাব ঘটলেই মুখে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও ভিটামিন বি-৩, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই এগুলোর অভাবেও মুখে ব্রণ হয়। আমাদের শরীরে যদি এই সকল ভিটামিনের পর্যাপ্ত মজুদ না থাকে বা স্বাভাবিক মাত্রায় না থাকে তাহলে মুখে ব্রণ হয় । আবার কারো কারো ক্ষেত্রে মুখে অতিরিক্ত ব্রণ উঠতে দেখা যায়। 

ভিটামিন বি-৩, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই আমাদের ত্বককে ভালো রাখে এবং ত্বককে সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। তাছাড়াও আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা ও নমনীয়তা বজায় রাখতে এই ভিটামিন গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই সাথে মুখে ব্রণ হওয়া প্রতিরোধ করে। মুখে ব্রণের সমস্যা থাকলে সেটা নিরাময় করে। তাই আমাদের শরীরে এই সকল ভিটামিন গুলোর অভাব ঘটলে মুখে ব্রণ হয়। আশা করছি আপনারা জানতে পেরেছেন কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়।

মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ

মুখে ব্রণ হওয়া খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। ব্রণের সমস্যা প্রত্যেকটা মানুষেরই হয়ে থাকে। মুখে ব্রণ হলে দেখতে খারাপ লাগে। কারো কারো মুখে আবার অতিরিক্ত ব্রণ উঠতে দেখা যায়। কিন্তু মুখে ব্রণ কেন হয় এ বিষয়টা আমরা অনেকেই জানিনা। যার কারণে মুখে ব্রণ দিন দিন বাড়তেই থাকে। আমরা যদি আগে থেকেই মুখে ব্রণ কেন হয় এই সম্পর্কে জানতে পারি তাহলে খুব সহজেই মুখে ব্রণ হওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে পারব। 
মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন
এছাড়াও মুখের ব্রণের সমস্যা নিরাময় করতে পারব। তাই আপনাদের ত্বকের কথা চিন্তা করে এখন আমরা মুখে ব্রণ কেন হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। মুখে ব্রণ হওয়ার কারণগুলো উল্লেখ করে নিচে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আকারে তথ্যমূলক আলোচনা করা হলোঃ

ভিটামিনের অভাবেঃ আমাদের শরীরে বেশ কিছু ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়। ভিটামিন বি-৩,ভিটামিন সি,ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই, এই গুলোর অভাবজনিত কারণে আমাদে মুখে ব্রণ হয়। অর্থাৎ এই ভিটামিন গুলোর ঘাটতি শরীরে দেখা দিলে বা এই ভিটামিনগুলো আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে তখন আমাদের মুখে ব্রণ উঠতে শুরু করে। কারণ ভিটামিন এ,ভিটামিন সি,ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি-৩ আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। 

এছাড়াও উক্ত ভিটামিন গুলো আমাদের ত্বককে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে সুরক্ষা প্রদান করে থাকে । তাই আমাদের শরীরে এই ভিটামিন গুলোর অভাব দেখা দিলে ত্বকের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বিভিন্ন ক্ষতিকর রোগ-জীবাণুর আক্রমণে মুখে ব্রণ হয়। আবার যাদের শরীরে এই ভিটামিন গুলোর অভাব বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে তাদের মুখে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্রণ হয়।

গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকার কারণেঃ অনেক রাত অবদি জেগে থাকার কারণে মুখে ব্রণ হয়।কারণ ঘুম আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী।রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমালে ত্বকের কোষগুলো সতেজ থাকে।যার কারণে মুখে ব্রণ উঠতে পারেনা। কিন্তু আমরা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকি। যার প্রভাবে আমাদের ত্বকের কোর্সগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবং বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রোগ-জীবাণু আমাদের ত্বকে খুব সহজেই বাসা বাঁধতে পারে। 

যার কারনে আমাদের মুখে ব্রণ হয়।একদল বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের অভাবে বা রাতে না ঘুমিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকার কারণে মুখে ব্রণ উঠে এবং ব্রণের সমস্যা সব থেকে বেশি হয়। তাই একথা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয় যে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকলে মুখে ব্রণ হয়।

অতিরিক্ত টেনশনঃ অতিরিক্ত টেনশন করার কারণেও মুখে ব্রণ হয়। যারা অতিরিক্ত টেনশন করেন বা সব সময় চিন্তার মধ্যে মগ্ন থাকেন তাদের মুখে খুব সহজেই ব্রণ উঠতে পারে। কারণ অতিরিক্ত টেনশন করার ফলে ত্বকের মাসেল সেল ও কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বক মসৃণ ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। যার কারনে আমাদের ত্বকে খুব সহজেই রোগ জীবাণু বাসা বাধতে পারে। এই ক্ষতিকর রোগ-জীবাণুর আক্রমণেই মুখে ব্রণ উঠা শুরু করে।

তৈলাক্ত ত্বকঃ যাদের ত্বক অনেক তৈলাক্ত প্রকৃতির তাদের মুখে খুব সহজেই ব্রণ হয়। অর্থাৎ যাদের মুখে অনেক পরিমাণে তেল উঠে তাদের মুখে ব্রণ সহজেই উঠতে পারে। কারণ তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের ক্ষতিকর জীবাণু খুব সহজেই বাসা বাঁধতে ও বংশবিস্তার করতে পারে। যার কারনে অন্যান্য ত্বকের তুলনায় যাদের ত্বক তৈলাক্ত প্রকৃতির তাদের মুখে ব্রণ বেশি বেশি হয়। 

এছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হলে সেটা সহজে নিরাময় করা যায় না। দিন দিন ব্রণের পরিমাণ বাড়তেই থাকে। তাছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকে রোগ ব্যাধি অনায়াসেই আক্রমণ করতে পারে। তাই তৈলাক্ত ত্বক ব্রণ হওয়ার জন্য অন্যতম একটি কারণ।

কি খেলে ব্রণ দূর হয়

মুখে ব্রণ হলে মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। চেহারা দেখতে অনেকটা খারাপ লাগে। ব্রণ সবার কাছেই একটি পরিচিত সমস্যা। ব্রণ হয়নি বা ব্রণের সমস্যায় পড়েননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। ব্রণ হওয়ার ফলে চেহারার অনেক ক্ষতি হয়। ব্রণের প্রভাবে মুখে কালো কালো ছোপ ছোপ দাগ ও ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়। যা প্রত্যেকটা মানুষের জন্যই অস্বস্তিকর। সুন্দর চেহারা প্রতিটা মানুষই চায়। মোটকথা মানুষ সৌন্দর্যের প্রতি বেশি আকর্ষণ বোধ করে। আপনারা যদি এই ব্রণের সমস্যা থেকে নিরাময় পেতে চান। 

তাহলে বেশ কিছু সবজি ও খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে ব্রণ হওয়া থেকে প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়াও ব্রণ হলে সেটা সহজেই নিরাময় করা যায়। এখন আমরা জানবো ব্রণ নিরাময় করে এমন কিছু সবজি ও খাবার সম্পর্কে। নিচে পয়েন্ট আকারে ব্রণ দূর করতে পারে এমন সবজি ও খাবারের নাম উল্লেখ করা হলো। এই সবজি ও খাবারগুলো আপনারা যদি নিয়মিত খান তাহলে খুব সহজেই ব্রণ দূর করতে পারবেন।
  • পালংশাক
  • পুঁইশাক
  • কুমড়ো
  • লাউ
  • লালশাক
  • ঢেঁড়স
  • করলা
  • দই
  • ঘি
  • মাখন
  • লেবুর রস
  • বাতাবি লেবু
  • কমলালেবু
  • পনির
  • ডার্ক চকলেট
  • মধু
  • শসা
উপরে উল্লেখকৃত সবজি ও খাবারগুলো যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে মুখের ব্রণ দূর হবে এবং মুখে ব্রণ থাকলে সেটা সহজেই নিরাময় করা সম্ভব হবে।

কোন হরমোনের কারনে ব্রণ হয়

আমাদের শরীরে হরমোনের তারতম্যের কারণেও মুখে ব্রণ উঠতে পারে। শরীরে কোটিরসল হরমোনের ফলে মুখে ব্রণ হয়। অর্থাৎ আমাদের শরীরে যদি চাহিদার তুলনায় কোটিরসল হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাহলে মুখে ব্রণ উঠতে শুরু করে। স্কিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা মুখে ব্রণ হওয়ার পেছনে প্রধানত কোটিরসল হরমোনকেই দায়ী করে থাকেন। তাদের কথা অনুযায়ী একজন মানুষের শরীরে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণে কোটিরসল হরমোনের বৃদ্ধি ঘটে থাকলে সেটার প্রভাবে মুখে ব্রণ হয়।

এছাড়াও শরীরে যদি এই হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে মুখে ব্রণের সমস্যা থাকলে সেটা সহজেই নিরাময় করা যায় না। এবং দিন দিন মুখে নতুন করে ব্রণ উঠতেই থাকে। তাই বলা যায় আমাদের মুখে ব্রণ উঠার জন্য কোটিরসল হরমোন দায়ী। তাছাড়াও শরীরে এন্ড্রোজেন হরমোনের বৃদ্ধির ফলেও মুখে ব্রণ হতে পারে। একজন ছেলে ও মেয়ের বয়সন্ধিকাল চলার সময়ে তাদের শরীরে এন্ড্রোজেন ও টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। 

যার কারণে বয়সন্ধিকালে মুখে সবথেকে বেশি ব্রণ হয়। ব্রণ হওয়ার জন্য দায়ী অতিরিক্ত এন্ড্রোজেন হরমোন মেয়েদের মাসিক চক্রের সময়ে অতিরিক্ত মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। যার ফলে মাসিক চক্র চলাকালীন সময়ে বা মাসিক চক্র পরবর্তী সময়ে মেয়েদের মুখে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ব্রণ উঠতে দেখা যায়। অতএব শরীরে কোটিরসল এবং এন্ড্রোজেন হরমোন অতিরিক্ত মাত্রায় বৃদ্ধি পেলে আমাদের মুখে ব্রণ হয়। মূলত ব্রণ হওয়ার কারণ হিসেবে এই দুটি হরমোনই দায়ী।

ব্রণের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের নাম

ব্রণ আমাদের ত্বকের খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। মুখে ব্রণ উঠা মোটেও ভালো নয়। মুখে ব্রণ উঠলে যেমন নিজের কাছে খারাপ লাগে। ঠিক তেমন মুখে ব্রণ নিয়ে অন্য মানুষদের সামনে গেলে তারাও সেটা নিয়ে সমালোচনা করেন। অনেক মানুষ রয়েছেন যারা মুখে ব্রণ নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় মুখের ব্রণ নিরাময় করতে পারেননি। 

তাদের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি ব্রণ নিরাময় করার বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বাজারে নিয়ে এসেছে। এখন আমরা ব্রণের সমস্যা সমাধানকারী এন্টিবায়োটিক ওষুধের নামগুলো জানব। নিচে পয়েন্ট আকারে এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম উল্লেখ করা হলো:
  • Cal Phos 30
  • Acid Pic
  • Thuja
  • Puls
  • Cal Pic
  • Amica Mont
  • Kali Mur 6x
  • Radium Bromide 200
  • Cubeba
  • K.M 6x
  • Staphy
  • Ledum Pal
  • Bovista
  • Tarentula Cubensis

ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়

অনেকেই মুখের ব্রণ দূর করার জন্য স্কিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যান। ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে হাজার হাজার টাকার ওষুধ খান কিন্তু মুখের ব্রণ কিছুতেই দূর করতে পারেন না। আবার অনেকেই ওষুধে সঠিক ফলাফল না পেয়ে বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক জেল ব্যবহার করেন ব্রণ নিরাময় করার জন্য। কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করেও আশানুরূপ ফলাফল পান না। 
ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়
তাদের কথা চিন্তা করে আজকে আমরা আলোচনা করব ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই ব্রণ দূর করা যায়। তাহলে আসুন জেনে নেই ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।

শসার রস: শসার রস ব্রণ দূর করতে অত্যাধিক কার্যকরী। প্রথমে আমাদেরকে কয়েকটি শসা নিতে হবে। তারপর সেগুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুতে হবে। এবার শসা গুলোর খোসা ছুরি বা বটি দিয়ে ছিলে ফেলতে হবে। শসার খোসা ছাড়িয়ে নেওয়া হয়ে গেলে এগুলোকে কুচি কুচি করে কাটতে হবে। তারপর ব্লেন্ডারের মধ্যে দিয়ে শসার রস বানিয়ে নিতে হবে। 

এখন শসার এই রস পুরো মুখে লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর শুকিয়ে যাওয়ার জন্য ১০ থেকে ১২ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে ভালো কোন ফেসওয়াশ দিয়ে পুরো মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। যাদের মুখে ব্রণ রয়েছে তারা যদি এভাবে কিছুদিন শসার রস তৈরি করে মুখে ব্যবহার করেন তাহলে সহজেই ব্রণ দূর করতে পারবেন।

চালের গুঁড়ো ও মধু: ব্রণ দূর করতে চালের গুঁড়ো ও মধুর গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। এই মিশ্রণটি তৈরি করার জন্য প্রথমে আমাদেরকে একটি বাটিতে কিছুটা পরিমাণে চালের গুড়ো নিতে হবে। তারপরে চালের গুড়োর সঙ্গে কিছুটা পরিমাণে মধু মিশিয়ে ভালোভাবে একসঙ্গে মিক্স করে নিতে হবে। এবার চালের গুড়ো ও মধুর এই মিশ্রণটি পুরো মুখে লাগাতে হবে। 

তারপর শুকিয়ে যাবার জন্য বেশ কিছু সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে পুরো মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এভাবে যদি কেউ নিয়মিত ত্বকে চালের গুঁড়ো ও মধুর মিশ্রণটি ব্যবহার করে তাহলে যত ব্রনই থাক না কেন সেটা খুব সহজেই নিরাময় করা যাবে।

তুলসী ও নিম পাতা: প্রাচীনকাল থেকেই তুলসী ও নিমপাতা ত্বকের যত্নে ব্যবহার হয়ে আসছে। তুলসী ও নিমপাতা ব্রণ নিরাময় করতে পারে। মিশ্রণটি বানানোর জন্য প্রথমে আমাদেরকে বেশ কিছু তুলসী ও নিমপাতা সংগ্রহ করতে হবে। তারপর এগুলোকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ধোয়া হয়ে গেলে নিমপাতা ও তুলসীপাতা একসঙ্গে ব্লেন্ডারে মিহি করে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এখন এই পেস্ট পুরো মুখের উপরে ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। 

তারপর কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে মিশ্রণটি পুরোপুরি মুখে শুকিয়ে যাবার আগ পর্যন্ত। শুকিয়ে গেলে ভালো কোন ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ দিয়ে পুরো মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এমন করে নিমপাতা ও তুলসীপাতার পেস্ট তৈরি করে কেউ যদি নিয়মিত মুখে ব্যবহার করে তাহলে অল্পদিনের মধ্যেই মুখের ব্রণ দূর করতে পারবে। সেই সাথে মুখের উজ্জ্বলতাও আগের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

সম্মানিত পাঠক আমরা আর্টিকেলের একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তথ্যমূলক আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি পুরো বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও আর্টিকেল এর মধ্যে আমরা কি খেলে ব্রণ দূর করা যায়, কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়, কোন হরমোনের কারণে মুখে ব্রণ হয়, ব্রণের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের নাম সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তথ্যমূলক আলোচনা করেছি। আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন। 

এবং ব্রণ মুক্ত সুন্দর চেহারা পেতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি অনুসরণ করে ব্রণ দূর করতে পারেন। আপনি যদি এমন আরো শিক্ষণীয় আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আমরা প্রতিনিয়ত এমন আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। ধন্যবাদ আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আসিফ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url