ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি বিস্তারিত জানুন

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি এটা সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষই জানতে চান। আপনাদের কথা চিন্তা করে আজকে আমরা এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর সম্পর্কে জানতে চান,
ফ্রিল্যান্সিং-এ-কোন-কাজের-চাহিদা-বেশি-বিস্তারিত-জানুন
তাহলে আর্টিকেলটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো। আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিতভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন সেক্টর সম্পর্কে তথ্য মূলক আলোচনা করেছি।

পোস্ট সূচীপত্র: ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি এটা সম্পর্কে অনেক মানুষই জানেন না। অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান কিন্তু কোন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং শিখলে ভালো হবে সেটা সম্পর্কে বুঝতে পারেন না। আপনাদের এই সকল সমস্যার কথা চিন্তা করে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি সেটা সম্পর্কে আলোচনা করব। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে টাকা উপার্জন করার সব থেকে ভালো উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং করা। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করে ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করা যায়। তাহলে চলুন আমরা এখন ফ্রিল্যান্সিং এর বেশ কিছু জনপ্রিয় ক্ষেত্র সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিই।

ডিজিটাল মার্কেটিং: বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং জগতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে অনলাইনে যে সকল কাজ করা হয় সেগুলো করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানা খুব দরকার। আমাদের দেশে লোকাল মার্কেটেও ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক চাহিদা রয়েছে। সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে সময়ের ব্যবধানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। আমরা অনেকেই মনে করি ডিজিটাল মার্কেটিং শুধুমাত্র একটি কাজের ক্ষেত্র। যারা এমনটা ভাবেন তাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। 

ডিজিটাল মার্কেটিং শুধুমাত্র একটি কাজের ক্ষেত্র নয়। বরং অনেকগুলো কাজের ক্ষেত্র মিলেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর অবস্থান। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবগুলো ক্ষেত্র সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন তাহলে বিভিন্ন ক্ষেত্র গুলোকে ব্যবহার করে আলাদা আলাদা ভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কৃষি কাজ থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প কারখানা, অফিস, বিভিন্ন কোম্পানি সহ সকল ক্ষেত্রেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর অবদান রয়েছে। 

বর্তমান টেকনোলজির যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া এ সকল কাজে সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের ক্ষেত্র গুলো হল: ফেসবুক মার্কেটিং, গুগল মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, এসএমএস মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং এবং কনটেন্ট মার্কেটিং। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই সকল ক্ষেত্র গুলোর সম্পর্কে ভালোভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে ও শিখতে পারেন 

তাহলে ঘরে বসেই অন্যের অধীনে চাকরি না করে অনেক পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্র গুলোর উপরে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আবার আপনি চাইলে যেকোনো একটি সেক্টরকে বেছে নিয়ে দক্ষতা অর্জন করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট অনেক বড় একটি জায়গা দখল করে আছে। এছাড়াও আপনি যদি অনলাইনে যেকোনো ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার একটি ওয়েবসাইট দরকার হবে। যার কারণে ওয়েবসাইট তৈরি করা ও ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট কাজের চাহিদা অন্যান্য কাজের তুলনায় অনেক অনেকটাই বেশি। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের জন্য সবথেকে বেশি দক্ষতা অর্জন করতে হয় সিএসএস, জাভা স্ক্রিপ্ট, ফ্রেমওয়ার্ক এই সকল বিষয়ের উপরে। 

অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় ক্লায়েন্টরা সহজে ব্যবহার করা যায় এবং খুব তাড়াতাড়ি রেসপন্স করতে পারে এমন ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। অতএব আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে খুব তাড়াতাড়ি সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারেন। এটা আপনার ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে। আপনাকে বেকার ঘরে বসে থাকতে হবে না। ওয়েব ডেভেলপমেন্টের উপর যথাযথ দক্ষতা অর্জন করার সাথে সাথেই আপনি ক্লায়েন্টদের সেবা দিতে পারবেন।

আর্টিকেল রাইটিং: ফ্রিল্যান্সিং জগতে যতগুলো জনপ্রিয় কাজের সেক্টর রয়েছে তার মধ্যে আর্টিকেল রাইটিং বা কন্টেন্ট লেখা একটি খুবই জনপ্রিয় মাধ্যম। বর্তমান সময়ে ক্যারিয়ার গঠনে তরুণদের কাছে আর্টিকেল রাইটিং অনেক সহজ ও জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বর্তমান সময়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেস বেশিরভাগ মানুষই ব্যবহার করে থাকেন। আপনারা চাইলে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেসে আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন। মার্কেটপ্লেসে আর্টিকেল রাইটারের কাজ করে সেখান থেকে মাস শেষে অনেক পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি ক্যারিয়ার গঠনে অনেক পরিশ্রমী হয়ে থাকেন তাহলে একসঙ্গে অনেকগুলো মার্কেটপ্লেসে আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করে যেতে পারবেন।

কারণ অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন সীমারেখা নেই। আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী যত খুশি তত কাজ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি অনেক বেশি পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। আর্টিকেল রাইটিং সেক্টরে কাজ করে সব থেকে বেশি সফলতা অর্জন করতে চাইলে আপনাকে ইংরেজি আর্টিকেল লিখতে হবে। কারণ আর্টিকেল রাইটিং সেক্টরে ইংরেজি আর্টিকেলের চাহিদা সবথেকে বেশি। ইংরেজি আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ভালোভাবে জানতে হবে এবং ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখতে পারদর্শী হতে হবে। 

ইংরেজি আর্টিকেল লেখায় যথেষ্ট পরিমাণে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে পুরো বিশ্বের যেকোনো মার্কেটপ্লেস, ব্যক্তি কেন্দ্রিক ওয়েবসাইট, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ওয়েবসাইট, ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি সহ আরো অনেক জায়গাতে আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে আপনার ইনকাম কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চান তাহলে আর্টিকেল রাইটিং সেক্টরটি বেছে নিতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন: গ্রাফিক্স ডিজাইন হল ফ্রিল্যান্সিং জগতের অনেক বড় একটি মাধ্যম। গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর আপনারা যদি ভাল রকম দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন তাহলে শুধুমাত্র আমাদের দেশেই নয় বরং বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের অনেক বড় বড় ইন্টারন্যাশনাল, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে চাকরি করে বিপুল পরিমাণে ডলার উপার্জন করতে পারবেন। যা আপনার ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বর্তমান টেকনোলজির যুগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সকল ধরনের কাজই অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে হয়ে থাকে। 

তাই যারা ব্যবসা করেন তারা অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য তাদের কোম্পানির নিজস্ব লোগো, ব্যানার এবং পণ্যের বিজ্ঞাপন ডিজাইন করার প্রয়োজন হয়। যার কারণে প্রতিনিয়ত গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা যেসকল কাজ করে থাকেন তার মধ্যে, লোগো ডিজাইন, ফ্যাশন ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইন, বিভিন্ন ধরনের ছবি তৈরি করা এগুলোই সবথেকে বেশি উল্লেখযোগ্য কাজ। 

এগুলো ছাড়াও একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ফাইবার, আপ ওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডট কম এই সকল সেক্টরে দক্ষতার সাথে বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের সেবা প্রদান করে পারিশ্রমিক হিসেবে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন এবং নিজেকে একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে তৈরি করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার: বর্তমান টেকনোলজির যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়া আমরা প্রায় অচল বললেই চলে। আমাদের এই প্রয়োজনীয়তার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যার কারণে কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের। এটার আসল কারণ কি আপনি জানেন? এটার কারণ হলো পুরো বিশ্বে এমন কিছু ব্যক্তি বা সংগঠন রয়েছে যারা সোশ্যাল মিডিয়া চালানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণে সময় বের করতে পারেন না।

যার ফলে তারা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট পরিচালনা এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ যথাযথভাবে পরিচালনা করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার নিয়োগ করেন। এসকল কাজ করার জন্য একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এক ঘন্টায় তার কাজের বিপরীতে পারিশ্রমিক হিসেবে ২৫ থেকে ৩০ ডলার পর্যন্ত নিয়ে থাকেন। তাহলে আপনি নিজেই ভেবে দেখুন 

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এই কাজের গুরুত্ব ও চাহিদা ঠিক কতটুকু। তাই আপনারা যারা ফেসবুক, টুইটার,ইনস্টাগ্রাম সহ আরো অনেক সামাজিক যোগাযোগ গুলো পরিচালনা করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে পারদর্শী ও অভিজ্ঞ তারা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে পারেন। এই সেক্টরটি খুব তাড়াতাড়ি আপনাকে সফল হতে সহায়তা করবে।

ডাটা এন্ট্রি: যাদের কাছে ফ্রিল্যান্সিং এর অন্যান্য মাধ্যমগুলো বেশ কঠিন বলে মনে হয় তারা ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ডাটা এন্ট্রিকে বেছে নিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করার অন্যান্য মাধ্যম গুলোর মধ্যে থেকে ডাটা এন্ট্রি অনেক সহজ এবং ডাটা এন্ট্রির কাজ খুব সহজেই করা যায়। যদিও ডাটা এন্ট্রির কাজ সহজ কিন্তু ডাটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য এর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টুলস এর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে ও যথাযথ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। 

পাশাপাশি আপনার টাইপিং স্কিল উচ্চমাত্রার গতি সম্পন্ন হতে হবে। ডাটা এন্ট্রিতে কাজ করার জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল এবং বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার এর কাজ সম্পর্কে জানতে হবে। সেই সাথে এগুলোর উপরে যথেষ্ট দক্ষতা তৈরি করতে হবে। অতএব আপনি যদি কম স্কিল নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে ডাটা এন্ট্রিকে বেছে নিতে পারেন।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

অনেক মানুষই ফ্রিল্যান্সিং করতে চায় কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি সেটা সম্পর্কে সঠিকভাবে তেমন কিছুই জানেন না এবং ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর সম্পর্কে সঠিক কোন ধারণা নেই। বর্তমান টেকনোলজির যুগে ফ্রিল্যান্সিং করার ডিমান্ডেবল সেক্টরগুলোর প্রতিটা মাধ্যমেই তাদের কিছু নিজস্বতা আছে। তাহলে চলুন এখন আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিই:

ভিডিও এডিটিং: ফ্রিল্যান্সিং জগতে ভিডিও এডিটিং সৃজনশীল ও ডিমান্ডেবল একটি সেক্টর।যেখানে আপনি আপনার সৃজনশীল ধারণা এবং টেকনোলজিগত দক্ষতা একইসঙ্গে ব্যবহার করতে পারবেন। ভিডিও এডিটিং করার জন্য আপনার অনেক ধরনের ভিডিও মাধ্যম যেমন:ইউটিউব ভিডিও, শিক্ষামূলক ভিডিও, টিউটোরিয়াল ভিডিও, প্রোমোশনাল ভিডিও, কারো ব্যক্তিগত ভিডিও, নাটক বা শর্ট ফিল্মের ভিডিও, ব্লগিং ভিডিও এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত কন্টেন্ট ভিডিও এগুলো এডিটিং করার উপরে বিশেষ ধরনের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। 

এই সকল ভিডিও গুলো এডিটিং করার জন্য আপনার ভিডিও কাটিং ট্রানজেকশন, ভয়েস ওভার সংযুক্ত করা, মিউজিক এড করা, টেক্সট ফিচার তৈরি করা ইত্যাদি টুলস গুলো ব্যবহার করা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে হবে।এছাড়াও আপনাকে বিভিন্ন ভিডিও এডিটিং করার সফটওয়্যার যেমন: এডোবি প্রিমিয়ার প্রো,ফাইনাল কার্ড প্রো ব্যবহার করার উপরে পর্যাপ্ত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে আপনি ফাইবার,

আপ ওয়ার্ক সহ আরো অনেক মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টদেরকে সেবা প্রদান করে তার বিপরীতে পারিশ্রমিক হিসেবে বিপুল পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।বর্তমানে পুরো বিশ্ব জুড়েই ভিডিও এডিটরের কাজের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই ভিডিও এডিটিং সেক্টরে দক্ষতার সাথে কাজ করে সফলতা অর্জন করা অনেক সহজ। আপনি চাইলে নিঃসন্দেহে ভিডিও এডিটিং সেক্টরকে আপনার কাজের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট: বর্তমানে টেকনোলজির অগ্রগতির সাথে সাথে ধারাবাহিকভাবে নতুন নতুন অ্যাপ সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারনে অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের কাজের চাহিদাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে মোবাইল ফোন অ্যাপ ডেভলপাররা বিশেষ ভাবে কাজের সুযোগ অধিক পরিমাণে পাচ্ছেন। আপনাকে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কাজ করার জন্য অ্যান্ড্রয়েড এবং আই,এস,ও প্ল্যাটফর্মে অ্যাপ তৈরি করার উপরে বিশেষ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। এই প্লাটফর্মগুলোতে Swift এবং Kotlin এর মত ভাষা বেশি ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে। 

টেকনোলজির যত অগ্রগতি হচ্ছে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কাজের চাহিদাও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। তাই আপনি যদি নিজেকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে দক্ষতা অর্জন করে কাজ করতে পারেন। এই সেক্টর থেকে দক্ষতা অর্জন করে আপনি বাংলাদেশ সহ বিশ্বের যেকোনো দেশের ক্লাইন্টদেরকে সেবা দিয়ে তার বিপরীতে পারিশ্রমিক হিসেবে অনেক টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট: ফ্রিল্যান্সিং জগতে সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি সেক্টর হল ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা অনেক ধরনের প্রশাসনিক কাজ সম্পাদন করে থাকে ও বিভিন্ন ধরনের গ্রাহকদেরকে সেবা দিয়ে থাকেন। আপনি যদি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে নানা ধরনের বিশেষ সফটওয়্যার সম্পর্কে যথাযথ স্কিল তৈরি করতে হবে। সেই সাথে অনেক ধরনের সফটওয়্যার পরিচালনা করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তৈরি করতে হবে সেই সাথে অনেক ধরনের সফটওয়্যার প্রশ্ন করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। 
ফ্রিল্যান্সিং-এ-কোন-কাজের-চাহিদা-বেশি-বিস্তারিত-জানুন
মূলত ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হলো ইমেইল পরিচালনা করা, বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করা এবং ডাটা এন্ট্রি। আবার অন্যদিকে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চাকরি করার জন্য নির্দিষ্ট কোন ডিগ্রীর প্রয়োজন হয় না। কিন্তু নানা রকম সেক্টরে কাজ করার উপরে বিশেষ রকমের অভিজ্ঞতা থাকা খুবই প্রয়োজন। বর্তমান স্মার্ট বিশ্বে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোক্তাদের মাঝে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের চাহিদা অনেক পরিমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

মূলত ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্টরকে ফ্রিল্যান্সিং এর একটি ডিমান্ডেবল সেক্টর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ খুব সহজেই শেখা যায় এবং এই কাজের উপরে দক্ষতা অর্জন করার সাথে সাথেই সরাসরি বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেসে ক্লাইন্টদেরকে সেবা প্রদান করা সম্ভব হয়। যার ফলে অল্প সময়েই টাকা ইনকাম করতে পারা যায়।

অতএব সম্মানিত পাঠক বৃন্দ, আমরা উপরে বেশ কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে দেখিয়েছি। আশা করছি আপনি পুরো বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এখন সিদ্ধান্ত আপনার আপনি কোন সেক্টরটিকে বেছে নিয়ে দক্ষতা অর্জন করে সফলতা অর্জন করবেন। তবে আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আরো কিছু সেক্টর যেমন: গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি সেক্টরগুলো কেউ বেছে নিতে পারেন। যা আমরা উপরের অংশে অনেক আগেই বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে এসেছি।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো জানুন

ফ্রিল্যান্সিং জগতে কোন সেক্টরের কাজের চাহিদা অনেক বেশি সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার পরে আপনি নিশ্চয়ই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন। আপনি হয়তো ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য অনেক বেশি আগ্রহী কিন্তু দুঃখের বিষয় কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শেখা শুরু করবেন সেটা বুঝতে পারছেন না। তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। তাহলে চলুন এবার আমরা জেনে নেই ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন। নিচে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শেখা যাবে সেই বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু ধারনা প্রদান করা হলো:
  • ফ্রিল্যান্সিং শেখা শুরু করার আগে আপনাকে চিন্তা করে দেখতে হবে আপনি কোন সেক্টরে কাজ করতে বেশি আগ্রহী এবং কোন সেক্টর সম্পর্কে আপনার মোটামুটি ধারণা ও কিছুটা দক্ষতা রয়েছে।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং এই সকল সেক্টর গুলোর মধ্য থেকে আপনার হয়তো যেকোনো একটি সেক্টরের উপরে ভালো দক্ষতা রয়েছে। তাহলে আপনি সেই সেক্টরকে টার্গেট করে ফ্রিল্যান্সিং শেখার শুরু করতে পারেন।
  • ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কোর্স বিক্রি করে থাকে। আপনি চাইলে সেই সকল প্রতিষ্ঠানের অনলাইন কোর্সে ভর্তি হয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। আপনি যে সেক্টর সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে চান তারা আপনাকে সেই সেক্টরের উপরে দক্ষতা অর্জন করার জন্য পুরোপুরি সহায়তা করবে এবং একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করার যথাযথ প্রশিক্ষণ ও গাইডলাইন আপনাকে প্রদান করবে।
  • তাছাড়াও ইউটিউবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের নানা সেক্টর সম্পর্কে অনেক ভিডিও পাওয়া যায়। আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে ফ্রিতে সেই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে ফ্রিল্যান্সিং শেখা আরম্ভ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে পরিশ্রমী ও মেধাবী হতে হবে। ইউটিউবে ভিডিও দেখে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।
  • আপনার যদি সময় থাকে তাহলে আপনি ভালো মানের একটি ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে অফলাইন কোর্স করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। কারণ অফলাইনে ফ্রিল্যান্সিং শিখলে আপনি হাতে কলমে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। সেই সাথে বেশ কিছু অভিজ্ঞ ট্রেইনারের সান্নিধ্যে থেকে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সুযোগ পাবেন।
  • শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং কোর্স শেষ করলেই আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন না। তার জন্য আপনাকে নিয়মিত প্র্যাকটিস করে যেতে হবে এবং যথাযথ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।
  • ফ্রিল্যান্সিং কোর্স শেষ করার পরে তাড়াতাড়ি সফলতা পেতে চাইলে আপনাকে ইংরেজিতে যথেষ্ট পরিমাণে ভালো স্কিল তৈরি করতে হবে। কারণ আপনি যখন ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম এই সকল মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টদেরকে সেবা প্রদান করতে যাবেন তখন আপনাকে বিশ্বের যে কোন প্রান্তের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হতে পারে। যার কারণে আপনার ইংরেজি জানাটা আবশ্যক।
  • ভালোভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের উপরে দক্ষতা অর্জন করতে চাইলে অবশ্যই অভিজ্ঞ ট্রেইনারের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা শুরু করা উচিত। সেই সাথে পরবর্তীতে সেই ট্রেইনারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হবে। যাতে করে ভবিষ্যতে কোন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হলে আপনি সেই ট্রেইনারের সহযোগিতা নিয়ে সেটা সমাধান করতে পারেন।
সর্বশেষ কথা হল আপনি যেখান থেকেই ফ্রিল্যান্সিং শেখেন না কেন আপনি যখন বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেসে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ক্লায়েন্টদেরকে সেবা প্রদান করবেন তখন অবশ্যই কাজের শেষে ক্লায়েন্টদের কাছে থেকে কাজের ফিডব্যাক ও রিভিউ নিয়ে রাখবেন। যা পরবর্তীতে আপনি আপনার একাউন্টে পাবলিশ করতে পারেন। এতে করে আপনার কাজ পাবার সুযোগ অনেক বেশি বেড়ে যাবে। নতুন নতুন ক্লায়েন্ট পেতে সুবিধা হবে। সবাই আপনার প্রোফাইলে ঢোকার পরে বুঝতে পারবে আপনি অভিজ্ঞ একজন ফ্রিল্যান্সার।

ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কোন কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি তা আপনারা ইতিপূর্বেই আর্টিকেলটি পড়ে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয় সেক্টর গুলো সম্পর্কে আপনাদের ধারণা তৈরি হলেও আপনারা জানেন কি এই সেক্টরে আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত? আপনারা হয়তো জানলে অবাক হবেন যে, ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে পুরো বিশ্ব জুড়ে বাংলাদেশের অবস্থান প্রতিনিয়ত অধিকতর শক্তিশালী হচ্ছে। কিছুদিন আগে স্বনামধন্য সিইও ওয়ার্ল্ড পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।সেখানে ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ করার বিষয়ে শীর্ষ ৩৫টি দেশের নাম আন্তর্জাতিকভাবে সরাসরি প্রকাশিত হয়েছে।

এই শীর্ষ দেশগুলোর মধ্য থেকে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ৩০তম। পুরো বিশ্বের ফ্রিল্যান্সার নিয়োগের শীর্ষ এই ৩৫ টি দেশগুলোর ভিতর থেকে বাংলাদেশ ৪৮.৫২ স্কোর অর্জন করে ৩০ তম অবস্থান লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। শুধুমাত্র ২০২১ সালেই আমাদের দেশ তথা বাংলাদেশ পুরো বিশ্বের মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থ আয় করেছে। যা আমাদের দেশের অর্থনীতির অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে।ফ্রিল্যান্সিং জগতে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা ডিজিটাল মার্কেটিং,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,কন্টেন্ট রাইটিং,

গ্রাফিক্স ডিজাইন সহ আরো অনেক সেক্টরে দক্ষতার সাথে কাজ করে নিজেদেরকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বিশ্ববাজারে নিজেদের অবস্থানকে অনেক দৃঢ় করেছে। যার ফলশ্রুতিতে বিশ্ব বাজারের বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা ও কাজের মান প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যাতে বাংলাদেশী তরুণরা যথাযথ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। 

যা ইতিমধ্যেই এদেশের যুব সমাজ থেকে শুরু করে সকল বয়সী ফ্রিল্যান্সিং প্রেমি মানুষদের অনেক উপকারে এসেছে। বাংলাদেশ সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগ গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ প্রকল্প যা বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেক পরিমাণে কাজের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। সর্বোপরি সকল দিক বিচার-বিশ্লেষণ করলে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর আন্তর্জাতিক বাজারে দিন দিন সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে, 

এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। যেটা বাংলাদেশের যুব সমাজের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের যথেষ্ট সম্মান ও কাজের গুণগত মান নিয়ে অনেক সুনাম রয়েছে। তাই সুদূর ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমশই উন্নতির দিকে অগ্রসর হবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি তা আপনারা অনেক আগেই আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পেরেছেন। এখন আমরা আপনাদেরকে জানাবো ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি সেটা সম্পর্কে। অনেকের মধ্যেই ভুল ধারণা রয়েছে যে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের ভবিষ্যৎ আজকে আছে তো কালকে আবার নাও থাকতে পারে। যারা এমনটি মনে করেন তাদের ধারণাটি সম্পূর্ণরূপে ভুল। এর কারণ হল সকল দিক বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রমাণিত হয়েছে যে, ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল এবং প্রতিনিয়ত ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজের চাহিদা বেড়েই যাচ্ছে। যার ফলে যতদিন যাবে তত ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা বাড়তেই থাকবে। 

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ শেষ হওয়ার কোনরকম সম্ভাবনা নেই। যত সময় যাচ্ছে টেকনোলজি যেমন উন্নত হচ্ছে ঠিক তেমনি যতদিন যাবে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ তত উজ্জ্বল হতে থাকবে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে টেকনোলজির ডিজিটালাইজেশনের কারণে কাজের ধরন ও ক্ষেত্র পরিবর্তিত হচ্ছে। তার সাথে সমন্বয় করে বাংলাদেশ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকল ধরনের প্রতিষ্ঠান নিজেদের কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে, আগামী দশকে বাংলাদেশ সহ পুরো বিশ্ব জুড়েই ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। 

যার বেশিরভাগই ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং এই সকল ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের উপরে নিজেদেরকে বিশেষভাবে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলবে। এটার কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছেন বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও পরিচালকবৃন্দরা মনে করেন যে,স্থায়ী কর্মচারীর পরিবর্তে ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ করলে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য তা আগের তুলনায় অনেক বেশি লাভজনক হবে। অন্যদিকে আবার পুরো বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী হওয়া কালীন,

এবং তার পর থেকে কমবেশি সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে কাজ করার প্রবণতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা কিন্তু সত্যিকার অর্থেই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের চাহিদা বাড়িয়ে তুলেছে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজের সবথেকে বড় ক্ষেত্র হল ফাইবার ও আপ ওয়ার্ক। এ সকল মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সারদের কাজকে অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে। যে কারণে নিজেকে একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করতে পারলে,

এই সকল মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টদেরকে সেবা প্রদান করে তার বিনিময়ে অনেক পরিমাণে টাকা ইনকাম করা যাবে। যা একজন মানুষের ভবিষ্যৎকে উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ করবে। অতএব ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ এখন যেমন ভালো রয়েছে ঠিক তেমনি যতদিন অতিবাহিত হতে থাকবে এটার ভবিষ্যৎ তত উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ হতে থাকবে।

অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি তা আপনারা ইতিপূর্বেই কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছেন। অনলাইন জগতে যত ধরনের কাজ বর্তমানে পরিচালিত হয় তার মধ্য থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের সবথেকে উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রগুলো হল: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ইমেইল মার্কেটিং এবং কনটেন্ট মার্কেটিং। এছাড়াও বর্তমানে ছোট বড় যেকোনো ধরনের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানই বিশেষভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপরে সরাসরিভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এটার একমাত্র প্রধান ও মুখ্য কারণ হলো অনলাইন ব্যবহার করে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে পণ্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচার খুব সহজেই করা যায়। 
অনলাইনে-কোন-কাজের-চাহিদা-সবথেকে-বেশি
যা ক্রেতাদের পণ্য ক্রয়ের দিকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করা যায়। যার ফলস্বরূপ কোম্পানির পণ্য বেশি পরিমাণে বিক্রি করা সম্ভব হয়। যা অফলাইন মার্কেটিংয়ের তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিং করে কয়েকগুণ বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়াও বর্তমান সময়ে টেকনোলজির ব্যাপক উন্নতির কারণে বেশিরভাগ মানুষই বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে থাকেন। যার কারণে এই বিপুল পরিমাণ ক্রেতাদের টার্গেট করে ব্যবসা পরিচালনা করতে চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং করা আবশ্যক। 

সে কারণেই যতদিন যাচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের ক্ষেত্র ও কাজের চাহিদা বেড়েই যাচ্ছে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে খুব তাড়াতাড়ি সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপরে দক্ষতা অর্জন করে বাংলাদেশের লোকাল মার্কেটসহ আন্তর্জাতিক বাজারে কাজ করতে পারবেন। যা আপনার ইনকাম কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে। আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। ডিজিটাল মার্কেটিংই হলো বর্তমান সময়ের অনলাইন জগতে সবথেকে চাহিদা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর।

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি

অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করেন। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলবেন সেটা বুঝতে পারেন না। তাহলে চলুন আজকে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে আলোচনা করি। ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সর্বাধিক পরিচিত মাধ্যমটি হলো পাইওনিয়ার। এটি হলো আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রেমেন্ট প্রসেসিং মাধ্যম। পাইওনিয়ার বিশ্বের নানা দেশের ক্লাইন্টের কাছ থেকে অল্প সময়ের মধ্যে ফ্রিল্যান্সারদের টাকা গ্রহণ করার সুযোগ প্রদান করে থাকে। 

এটি ফ্রিল্যান্সারদের কাছে টাকা পাওয়ার বিশ্বস্ত একটি মাধ্যম। যা বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের আস্থার একটি জায়গা। পাইওনিয়ার মাধ্যমটি ব্যবহার করে ক্লাইন্ট এর কাছ থেকে পাওয়া অর্থ খুব সহজেই স্থানীয় ব্যাংকে ট্রান্সফার করে নেওয়া যায়। তাছাড়াও আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ডের মাধ্যমেও আপনি চাইলে সরাসরি পাইওনিয়ার থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। 

আমাদের দেশে পেপাল ব্যবহৃত না হওয়ার কারণে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা পাইওনিয়ার কেই ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। পাইওনিয়ার ব্যবহার করা সহজ হওয়ার কারণে সবার কাছেই এটি অনেক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। পাইওনিয়ার এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো এবং তোলার খরচ অনেক কম। যার ফলে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা এটাই ব্যবহার করে থাকে।

নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি সেটা আপনারা অনেক আগেই জেনে গিয়েছেন। এখন হয়তো আপনাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে যে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি? তাহলে চলুন এবার সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। নতুন ফ্রিল্যান্সারদের কাজ করার জন্য জনপ্রিয় ও সেরা মার্কেটপ্লেস হলো আপ ওয়ার্ক। এই মার্কেটপ্লেসটি সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। এখানে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং সহ আরো অনেক ধরনের কাজ করতে পারবেন। 

আপ ওয়ার্ক নতুন ফ্রিল্যান্সারদের কাজ পেতে সহায়তা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও আপ ওয়ার্ক নতুন ফ্রিল্যান্সারদের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। আবার অন্যদিকে আপ ওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করা একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের কাছে অনেক সহজ হয়ে থাকে। যার কারনে নতুন অবস্থায় আপ ওয়ার্কে কাজ করায় নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা একটি মার্কেটপ্লেস। 

আপ ওয়ার্কে যদি দক্ষতার সাথে ক্লায়েন্টদেরকে সেবা প্রদান করে বিশেষভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারা যায় এবং কাজের বিপরীতে ক্লায়েন্টদের নিকট হতে কাজের ফিডব্যাক এবং রিভিউ ভালো হয় তাহলে পরবর্তীতে আরো অনেক জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে কাজ করার ও কাজ পাবার সুযোগ অনেক গুনে বেড়ে যাবে। তাই সবদিক বিবেচনা করে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস হলো আপ ওয়ার্ক।

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আমি আশা করছি আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা পেয়েছেন। এখন হয়তো ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টর সম্পর্কে আপনারা আর কোন ভুল ধারণা নেই। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই শুরু করতে পারেন। 

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি বা কোন সেক্টরে কাজ করলে ভালো হবে সেটা আপনারা আর্টিকেলটি পড়েই বুঝতে পেরেছেন। এখন আপনার কাছে যে সেক্টরটি ভালো মনে হয় এবং যেই সেক্টর সম্পর্কে আপনার মোটামুটি দক্ষতা রয়েছে সেই সেক্টর এর উপরেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং শেখা শুরু করতে পারেন। 

আর্টিকেলটি পড়ার আগে হয়তো আপনার মধ্যে বেশ কিছু প্রশ্ন ও হতাশা ছিল।কিন্তু আমরা আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনার মধ্যে থাকা সকল প্রশ্ন ও হতাশা দূর হয়ে গেছে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আসিফ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url