অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট থেকে কত টাকা আয় করা যায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট থেকে কত টাকা আয় করা যায় এই সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা অনলাইনে সার্চ করেছেন। আপনাদের কথা চিন্তা করে এই আর্টিকেলের মধ্যে আজকে আমরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট থেকে কত টাকা আয় করা যায় সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
অ্যাফিলিয়েট-মার্কেটিং-সাইট-থেকে-কত-টাকা-আয়-করা-যায়
এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স,অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কি কি বিষয় জানা প্রয়োজন সেই সম্পর্কে তথ্যমূলক আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।

পোস্ট সূচিপত্রঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট থেকে কত টাকা আয় করা যায় 

উপস্থাপনা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায় - অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে বোঝায় আপনি কোন দ্বিতীয় পক্ষের পণ্য বা সেবা নিজের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে সেই পণ্য বিক্রির মাধ্যমে কিছু কমিশন লাভ করা। অর্থাৎ কোন কোম্পানি বা নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির কোন সেবা বা পণ্য আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সেই পণ্যের লিংক শেয়ার করে তার মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারলে আপনি যতগুলো পণ্য আপনার মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন তার বিনিময়ে আপনি ভালো অংকের কমিশন লাভ করবেন।
এভাবে অন্যের পণ্য বা সেবা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট গুলো ব্যবহার করে তাদের দেওয়া লিংকের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতি হওয়ার কারণে শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষই বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকেন। যার কারণে বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয় একটি অনলাইন ইনকাম সাইট।

আপনি ঘরে বসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেহেতু বেশিরভাগ মানুষই বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে তাই তাদেরকে টার্গেট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পণ্যের বিজ্ঞাপন বা প্রচারণা চালিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে পন্য ক্রয়ের প্রতি বেশি আগ্রহী করা যায়। যার ফলে খুব সহজেই উক্ত পণ্য বা সেবা গ্রাহকদের কাছে খুব সহজেই বিক্রি করা যায়। 

এছাড়াও অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করা এই বিপুল পরিমাণ কাস্টমারদের টার্গেট করে যদি অনলাইন ভিত্তিক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচালনা করা যায় তাহলে লোকাল মার্কেটের তুলনায় অনেক বেশি ক্রেতা পাওয়া যায়। তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায় এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট সম্পর্কে তথ্যমূলকভাবে জানতে চাইলে আর্টিকেলটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট বলতে মূলত বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে বুঝায় বা বিভিন্ন ধরনের ব্লগ এবং ব্লগার ওয়েবসাইটকে বোঝায়। যেখানে সাধারণত কোন কোম্পানি বা কোন ব্যক্তির পণ্য এবং সেবার প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়ে থাকে। সারা বিশ্বে অনেক ধরনের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট আছে। তেমনি আজকে আমরা বেশ কিছু অত্যাধিক জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট গুলো সম্পর্কে।
অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটঃ অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েট হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সব থেকে সহজ এবং জনপ্রিয় একটি মার্কেটিং সাইট। সবথেকে বড় ব্যাপার হলো এই সাইটটি অ্যামাজনের নিজস্ব একটি সাইট। যেখানে অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ধরনের পণ্য বা সেবা বিক্রি করে থাকেন। এই সাইটটি অনলাইন ব্যবহারকারীদের কাছে অনেক জনপ্রিয় একটি মার্কেটিং সাইট। অনলাইন মার্কেটেররা অ্যামাজনের এই সাইটের পণ্য গুলোর লিংক শেয়ার করে সেই লিংকের মাধ্যমে যতগুলো পণ্য কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করতে পারেন তার বিনিময়ে প্রত্যেকটি পণ্যের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন লাভ করেন। 

যার মাধ্যমে ঘরে বসেই মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারা যায়। তবে মজার বিষয় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে লিংক এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন সীমারেখা নেই। আপনি যত খুশি তত পণ্য বিক্রি করতে পারবেন অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েট মার্কেটিং সাইটের পণ্যের লিংক এর মাধ্যমে। আপনি এই সাইটের লিংক ব্যবহার করে যত বেশি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন তত বেশি টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

রাকুটেন মার্কেটিংঃ জাপানের সবথেকে বড় এবং সেরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট হল রাকুটেন মার্কেটিং সাইট। জাপানে যতগুলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট পরিচালিত হয়ে থাকে তার মধ্য থেকে অত্যাধিক জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট হল রাকুটেন মার্কেটিং সাইট। মূলত এই কোম্পানি বড় বড় ব্র্যান্ড এবং বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের কাজ পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়াই এর প্রধান কাজ। 
যার জন্য মার্কেটারদের কাছে সব থেকে বিশ্বস্ত এবং জনপ্রিয় একটি সাইট হল রাকুটেন মার্কেটিং সাইট। যারা নতুন মার্কেটার রয়েছেন তাদের জন্য এই সাইটটি বিশেষ ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাইলে এই সাইটটিকে বেছে নিতে পারেন।

ক্লিক ব্যাংকঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য বিখ্যাত একটি সাইট হল ক্লিক ব্যাংক। যেখানে ডিজিটাল পণ্য বা সেবা খুব সহজেই বিক্রি করা হয়। এখানে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল পণ্যের বিস্তারিত তথ্য সহ প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। যেগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কোর্স ও ই-বুক, নানা ধরনের সফটওয়্যার সব থেকে বেশি পাওয়া যায়। 

এগুলো প্রমোট করার মাধ্যমে অর্থাৎ এগুলোর লিংক শেয়ার করে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করার মাধ্যমে একজন মার্কেটার ৩৫% থেকে ৪৫% পর্যন্ত কমিশন লাভ করে থাকেন। যা ফুলটাইম কোন চাকরির বেতনের থেকে কোন অংশে কম নয়। তবে আপনি যত বেশি পরিশ্রমের সাথে কাজ করে যত বেশি পণ্য লিংক এর মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারবেন তার বিপরীতে তত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

শেয়ার সেলঃ এটি অনেক সহজ ও জনপ্রিয় একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট। এখানে ছোট বড় সকল ধরনের ব্যবসার সাথে সমান তালে কাজ করা হয়। শেয়ার সেল সাইটে বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। যেগুলোর প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে মার্কেটাররা উচ্চ মাত্রার কমিশন লাভ করে থাকেন। আপনি যদি নিজেকে একজন এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে তৈরি করতে চান,

বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আপনার দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই অন্তত একবার হলেও এই সাইটটি ঘুরে দেখতে পারেন। সাইটটি ভিজিট করার মাধ্যমে আপনার কাজের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। তাই নিজেকে সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে তৈরি করতে শেয়ার সেল সাইটটি লাভজনক হবে।

ইবে পার্টনার নেটওয়ার্কঃ এই সাইটটি অ্যামাজনের মতোই জনপ্রিয় ও সর্বাধিক পরিচিত একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট। যেখানে নানা ধরনের বিভিন্ন ক্যাটাগরির সেবা ও পণ্য বিক্রয় করা হয়। আপনি যদি এই সাইটের সেবা বা পণ্য সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য ও পণ্য এবং সেবার লিংক শেয়ার করে পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে পারেন তাহলে তার বিনিময়ে অনেক অর্থ কমিশন হিসেবে উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। 

ইবে পার্টনার নেটওয়ার্ক সাইটটি ব্যবহার করে সহজেই নিজেকে একজন সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। যারা নতুন রয়েছেন তারা চাইলে এই সাইটটি ব্যবহার করে মার্কেটিং শুরু করে ইনকাম করতে পারেন। এই সাইটটি অনলাইন ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় হওয়ায় এখানকার পণ্যের মার্কেটিং করে বিক্রি করা অনেকটাই সহজ।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায় তা নির্ভর করবে অনেকগুলো বিষয়ের উপর। বিষয়গুলো হল আপনার এই কাজের প্রতি আগ্রহ ঠিক কতটা, এ কাজ সম্পর্কে আপনি ঠিক কতটুকু জানেন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রতি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা কতটুকু রয়েছে। এছাড়াও আপনি এই কাজের পিছনে কতটা সময় দিতে পারবেন। এই সকল বিষয়গুলোর উপরে আপনার আয়ের ব্যাপারটা নির্ভর করবে। 
অ্যাফিলিয়েট-মার্কেটিং-সাইট-থেকে-কত-টাকা-আয়-করা-যায়
তবে এগুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু বিষয় আছে যেগুলোর উপর নির্ভর করবে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি মার্কেটিং করার জন্য যে কোম্পানি বা ব্যক্তির পণ্য বা সেবার লিংক আপনার যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে শেয়ার করেছেন সে সকল ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার ডেইলি ভিজিটর কেমন আসে এবং আপনার ফলোয়ার কেমন হয় সেটার উপর ভিত্তি করে আপনার ইনকাম নির্ভর করবে। 

আপনার শেয়ারকৃত লিংকে যত বেশি ট্রাফিক আসবে বা যত বেশি ভিজিটর হবে এই মার্কেটপ্লেস থেকে আপনার ইনকাম ঠিক ততটাই বেশি হবে। যারা নতুন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার রয়েছেন তাদের ইনকাম একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের থেকে অনেকটাই কম হবে এটাই সত্য। আপনার ইনকাম কমবেশি হওয়ার পেছনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনি কি ধরনের পণ্য বা সেবা বেছে নিয়েছেন তার উপর ভিত্তি করে। 

অত্যাধিক জনপ্রিয় এবং পরিচিত কোন সেবা বা পণ্য বেছে নিয়ে মার্কেটিং করলে উচ্চমূল্যে পণ্য বা সেবার প্রচার প্রচারণা পরিচালনা করা যায়। যার ফলে এই উচ্চ মূল্যের পণ্য বা সেবা কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করতে পারলে অনেক বেশি টাকা কমিশন পাওয়া যায়। সে কারণে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট থেকে বেশি টাকা আয় করতে চাইলে সঠিক পন্য নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক বেশি আয় করতে চাইলে সঠিক নিয়মে প্রচার প্রচারণা চালানো অনেক প্রয়োজন। 

আপনারা আপনাদের যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে পণ্যের লিংক শেয়ার করছেন বা প্রচার-প্রচারণা করছেন সেখানে আপনাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনার সেই মাধ্যমটিতে ট্রাফিক বেশি আসছে কিনা। আপনি যেখানে প্রচার প্রচারণা করছেন সেখানে যদি ট্রাফিক বেশি আসে এবং ভিজিটর সংখ্যা বেশি হয় তাহলে আপনার পণ্য বিক্রি অনেক বেশি হবে এবং তার বিনিময়ে আপনি বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

তাই কোন পণ্য বা সেবার মার্কেটিং করার পূর্বে ট্রাফিক এবং ভিজিটর সব সময় বেশি থাকে এমন ওয়েবসাইট বেছে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। মার্কেটিং করে সফলতা পেতে চাইলে আপনাকে আপনার কনটেন্টের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও মার্কেটিং করার জন্য এসইও সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। তাছাড়াও এসএমএস মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং এগুলো সম্পর্কেও আপনার যথেষ্ট ধারণা থাকতে হবে। 

এই মাধ্যমগুলোতে আপনি যত বেশি কৌশলের সাথে পন্যের প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন তত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সুতরাং বুঝতেই পারছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট থেকে কত টাকা আয় করা যায় সেটা নির্ভর করে উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলোর উপরে। আপনি যত বেশি এগুলো মেনে কাজ করবেন তত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স

বর্তমান যুগে অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করার সব থেকে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি যদি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে খুব সহজেই ঘরে বসে থেকে আপনার ইন্টারনেট সংযোগকে ব্যবহার করে অনলাইন মাধ্যম গুলো থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু তার আগে আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণে জানতে হবে এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে হবে।

এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর উপরে নিজের স্কিল তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করা লাগবে। এগুলো আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের পেইড বা ফ্রি কোর্স করে শিখতে পারেন। তবে সব সময় চেষ্টা করবেন ভালো কোন আইটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে শেখার জন্য। এবার তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শেখার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এবং তাদের কোর্স সম্পর্কে।

ইশিখনঃ আমাদের দেশ তথা বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয় এবং পরিচিত একটি ওয়েবসাইট হলো ইশিখন। এখানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপরে সকল ধরনের কোর্স এবং সার্ভিস দেওয়া হয়। এছাড়াও আরো অনেক বিষয়ের কোর্স বা সার্ভিস তারা দিয়ে থাকে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম বা সেক্টর। আপনি চাইলে ইশিখন থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স করতে পারেন। 
অ্যাফিলিয়েট-মার্কেটিং-কোর্স
আপনি তাদের কাছ থেকে অনেক কম টাকায় এই কোর্সটি করার সুযোগ পাবেন। তাই আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে ইশিখন থেকে শিখতে পারেন। এখানে রয়েছে অনেক অভিজ্ঞ ট্রেইনার। যারা আপনাকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ একজন মার্কেটার হিসেবে তৈরি করতে সব ধরনের সহায়তা করবে।

ক্রিয়েটিভ আইটিঃ ফ্রিল্যান্সিং শেখার আরো একটি পরিচিত ও বহু জনপ্রিয় আইটি সেন্টার হল ক্রিয়েটিভ আইটি। আমাদের দেশের অনেক সফল ফ্রিল্যান্সাররা ক্রিয়েটিভ আইটি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। আপনি চাইলে এখান থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সহ আরো অনেক সেক্টর সম্পর্কে কোর্স করতে পারেন। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করলে আশা করি আপনি লাভবান হবেন। ক্রিয়েটিভ আইটির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ভিজিট করলে আপনি নিজেই জানতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং জগতে আইটি সেন্টার হিসেবে তারা ঠিক কতটা সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।

টেন মিনিট স্কুলঃ আপনারা যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ করেন তাহলে টেন মিনিট স্কুলের কোর্সটি আপনাদের সামনে চলে আসবে। টেন মিনিট স্কুল বিভিন্ন ধরনের কোর্স ও সার্ভিস সেল করে থাকে। টেন মিনিট স্কুল কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র একাডেমিক কোর্সই প্রদান করে না। বরং তারা অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে ইনকামের যতগুলো সেক্টর রয়েছে সবগুলো সেক্টরকে কেন্দ্র করেই তাদের অনেক কোর্স রয়েছে। আপনারা চাইলে অনেক সহজেই টেন মিনিট স্কুল থেকে আপনার কাঙ্খিত কোর্সটি করতে পারেন। এই প্রতিষ্ঠানটি পুরো বাংলাদেশের সকলের কাছেই অনেক বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠান।

ইউটিউব চ্যানেলঃ অনেক ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে অনেক ফ্রী কোর্সের ভিডিও পাওয়া যায়। এই ভিডিও গুলো দেখে আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে মোটামুটি ব্যাসিক ধারণা পাবেন এবং সেইসাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর খুঁটিনাটি বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। এছাড়াও এমন অনেক ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যেখানে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ভিডিও দেখে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পুরো কোর্স সম্পন্ন করতে পারবেন। 

তাই আপনার যদি টাকা দিয়ে ভর্তি হয়ে কোর্স করার সামর্থ্য না থাকে তাহলে ইউটিউব এর ফ্রি ভিডিওগুলো দেখে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে পারেন। তবে ইউটিউবে ভিডিও দেখে কাজ শিখতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।সেই সাথে আপনি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন সেটি সম্পর্কে অনেকেরই সঠিক তেমন কোন ধারণা নেই। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফলতা পেতে চাইলে বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জানা এবং পর্যাপ্ত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন।সেই বিষয়গুলোর উপরে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করে আপনি বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেসে নিজের পরিচিতি বাড়ানোর সাথে সাথে অনেক পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আসুন এবার তাহলে আমরা জেনে নিই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কোন কোন বিষয় জানা প্রয়োজন।
  • সবার প্রথমে আপনার অনেকগুলো বাজার যাচাই-বাছাই করে নির্দিষ্ট একটি পণ্য বা সেবা বেছে নেওয়া লাগবে।আপনি যে কোন বা সেবা নির্বাচন করবেন সেটার উপরে আপনার ভালো রকমের ধারণা থাকতে হবে। যাতে করে সেই পণ্য বা সেবা সম্পর্কে আপনি কাস্টমারদেরকে খুব সহজেই বর্ণনা করতে পারেন এবং পণ্যের যাবতীয় তথ্য কাস্টমারকে জানাতে পারেন।আপনাকে এমনভাবে প্রচার-প্রচারণা করতে হবে যাতে করে কাস্টমাররা আপনার সেই পণ্য বা সেবা ক্রয় করার জন্য আগ্রহী হয়।
  • তারপরে আপনাকে মার্কেটিং করার জন্য ভালো মানের কনটেন্ট বানাতে দক্ষ হতে হবে।সেগুলো হতে পারে কোন ব্লগ, কোন ভিডিও, ইমেজ বা লেখাযুক্ত কনটেন্ট। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কনটেন্ট তৈরি করা খুবই জরুরী। এই কনটেন্টই পারে আপনার উপার্জনকে অনেক গুণে বৃদ্ধি করতে। এছাড়াও আপনার কনটেন্টের মাধ্যমেই পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা বা অবস্থান তৈরি করা সম্ভব হবে কাস্টমারদের কাছে।সেজন্য কনটেন্ট তৈরি করার সময় খুব সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে আপনার কনটেন্টটি দেখে কাস্টমারদের কাছে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি না হয়ে বরং ভালো ধারণা জন্মায় এবং বিশ্বস্ত বলে মনে হয়।আপনি যত ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঠিক ততটাই সফল হতে পারবেন।এজন্য কনটেন্ট তৈরি মার্কেটিং এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • তারপরে আপনার নানা ধরনের ওয়েবসাইট বা বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বিষয়ে পর্যাপ্ত ধারণা থাকতে হবে। কারণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে পণ্য বা সেবার প্রচার-প্রচারণা চালানোর একমাত্র ক্ষেত্র হল এই সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমগুলো এবং ওয়েবসাইট। যার কারণে আপনাকে অবশ্যই ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনায় দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হতে হবে। এছাড়াও আপনার যদি ব্লগিং সম্পর্কে ধারণা থাকে তাহলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায় মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে। ব্লগিং এর মাধ্যমে অনেক ট্রাফিক আনা যায় যার ফলে কাস্টমারদেরকে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বেশি বেশি জানানো যায়।
  • তারপরে আপনাকে সবথেকে বেশি যেটা জানতে হবে সেটা হল এস,ই,ও। আপনি যত ভালো এস,ই,ও করতে পারবেন আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং তত ভালো হবে। কিন্তু তার জন্য এস,ই,ও সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানা থাকতে হবে। শুধুমাত্র এস,ই,ও এটাই পারে আপনাদের পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন বা কনটেন্ট গুলোকে সার্চবারে সকলের উপরে নিয়ে আসতে।আপনি যদি সব কিছুই জানেন কিন্তু ঠিকঠাক ভাবে এস,ই,ও করতে পারেন না তাহলে অ্যাফিলিয়েট সেক্টরে আপনি খুব বেশি লাভ করতে পারবেন না। কারণ এস,ই,ও ছাড়া আপনি আপনার কনটেন্টকে র‍্যাঙ্ক করাতে পারবেন না।সেই সাথে আপনার কনটেন্টে ট্রাফিক অনেক কম হবে। তাই এই সেক্টরে বেশি টাকা ইনকাম করতে চাইলে এস,ই,ও ভালোভাবে জানতে হবে।
  • সবশেষে আপনাকে যথেষ্ট পরিশ্রমী হতে হবে। আপনার কাজের প্রতি প্রবল আগ্রহ থাকতে হবে। এছাড়াও আপনি যে মার্কেটিং পরিচালনা করছেন সেটির উন্নতি বা অবনতি জানার জন্য নানা ধরনের অ্যাপস বা ওয়েবসাইট এর ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে হবে। এই সকল সফটওয়্যার সম্পর্কে আপনার যদি ধারণা না থাকে তাহলে আপনি আপনার কনটেন্টের ভিজিটর, ট্রাফিক এবং ইনকাম কিছুই ঠিকঠাক ভাবে জানতে পারবেন না। যে কারণে এই সকল সফটওয়্যার সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা থাকা খুব প্রয়োজন। আপনি নিজেকে সফল মার্কেটের হিসেবে তৈরি করতে চাইলে উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো মাথায় রেখে এবং সঠিক নিয়মে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ যারা অনলাইনে মার্কেটিং করে তাদেরকে কি বলে

ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা যে সকল সেবা বা পণ্য প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করে তার বিপরীতে কমিশন হিসেবে টাকা ইনকাম করে তাদেরকে মূলত একজন ডিজিটাল মার্কেটার অথবা অ্যাফিলিয়েট মারকেটার বলা হয়ে থাকে। সাধারণত একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার নানা ধরনের ডিজিটাল অনলাইন প্ল্যাটফর্ম গুলোকে ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের সেবা বা পণ্য লিংক এর মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে সেগুলো গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে এবং এই বিক্রি করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে। নিচে দুই ধরনের মার্কেটার সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হল।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারঃ যে সকল মার্কেটাররা প্রধানত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর উপরে সরাসরিভাবে কাজ করে থাকে তাদেরকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার বলা হয়। এই সকল মার্কেটাররা সাধারণত নানা ধরনের অ্যাফিলিয়েট মাধ্যমগুলোতে কাজ করে।এগুলোর বাহিরে তারা মূলত অন্য কোন সেক্টরে কাজ করে না। এরা কেবলমাত্র অ্যাফিলিয়েট সাইটগুলোতে সেবা বা পণ্য লিংক এর মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করে থাকে। 

এভাবে পণ্য বা সেবা বিক্রি করার মাধ্যমে কমিশন হিসেবে প্রতিটি পণ্যের বিপরীতে টাকা ইনকাম করেন। এই সেক্টরে যত বেশি সময় দিয়ে কাজ করা যাবে তত বেশি টাকা উপার্জন করা সম্ভব হবে। তবে অবশ্যই নিজেকে ধৈর্যশীল এবং পরিশ্রমী হতে হবে।

ডিজিটাল মার্কেটারঃ যারা মূলত ডিজিটাল মার্কেটার রয়েছেন তারা নানা ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং মাধ্যমগুলোতে কাজ করেন।এরা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি কোন সাইটের উপরে কাজ করেন না।এজন্য তারা ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে বহুল পরিচিত। একজন ডিজিটাল মার্কেটার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইটেও কাজ করে থাকেন। কারণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল ডিজিটাল মার্কেটিং এরই একটি অংশ।

তাই ডিজিটাল মার্কেটাররা একইসঙ্গে অনেকগুলো সাইটে কাজ করে থাকেন। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটার যারা রয়েছেন তারা তাদের লোকাল মার্কেটেও কাজ করেন। সেই সাথে এরা নিজেদের ব্যক্তিগত প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সরাসরি কাস্টমারদের কাছেও বিক্রি করে।ডিজিটাল মার্কেটারদের উদ্যোক্তাও বলা হয়ে থাকে।

লেখকের মন্তব্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায়- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার পরে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং টি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আপনার আর কোন হতাশা থাকার কথা নয়। এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স কোথায় করবেন সেটা সম্পর্কেও আমরা পর্যাপ্ত আলোচনা করেছি। 

আমরা আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারলেন সেগুলো আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে অনেক কাজে আসবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার দরকার হবে অনেক ধৈর্য এবং পরিশ্রমের। আপনি যদি ধৈর্য সহকারে পরিশ্রমের সাথে এই সেক্টরে কাজ করে যেতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং আপনি সফল একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে নিজেকে সবার সামনে প্রকাশ করতে পারবেন।

এই সেক্টর থেকে অল্প সময়ে অনেক ভালো কিছু করা সম্ভব। তবে আপনার সফলতা নির্ভর করবে একান্তই আপনার মেধা এবং পরিশ্রমের উপর ভিত্তি করে। এই সেক্টরে লেগে থাকলে আপনার সফলতার গল্পও একদিন অন্যদের মাঝে শেয়ার করতে পারবেন।এতক্ষণ সময় দিয়ে ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এমন আরো তথ্যমূলক এবং অনলাইন ইনকাম বিষয়ক আর্টিকেল পড়তে চাইলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এছাড়াও কোন বিষয়ে আর্টিকেল পেতে চান সেটা কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আসিফ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url