আম খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
সম্মানিত পাঠক আজকে আমাদের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হলো আম খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে। আপনারা হয়তো আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খোঁজাখুঁজি করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সঠিক কোন তথ্য খুঁজে পাননি। তাহলে আর চিন্তার কিছু নেই আজকে আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য।
আজকে আমরা বিস্তারিতভাবে আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। সম্পূর্ণ বিষয়টি ভালোভাবে জানতে আর্টিকেলটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
পোস্ট সূচীপত্র: আম খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
ভূমিকা
আম খুবই সুস্বাদু ও রসালো একটি ফল। ছোট থেকে বুড়ো সব বয়সের মানুষই আম খেতে অনেক পছন্দ করে। আগে শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালে আম পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হওয়ার কারণে এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি চলে আসার কারণে আম এখন কম বেশি সারা বছরই পাওয়া যায়। খেতে সুস্বাদু হওয়ার কারণে সব মানুষই আম খেতে পছন্দ করে। আমরা সকলেই আম খেতে পছন্দ করলেও আমের উপকারিতা সম্পর্কে সঠিকভাবে তেমন কিছু জানি না। তাই আজকে আমরা আম খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তথ্যমূলক আলোচনা করব।
এছাড়াও পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে,, পাকা আম খেলে কি হয়, শিশুদের আম খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া কি নিরাপদ সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আপনি যদি আম খাওয়ার ২০ কি উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আপনি যদি আমের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি উপকৃত হবেন। পুরো বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে ও জানতে এই আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে
আম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। আমের মধ্যে নানা পুষ্টিগুণ বিদ্যবান রয়েছে। আম খেলে অনেক ধরনের পুষ্টির চাহিদা সঠিক মাত্রায় পূরণ করা যায়। আম খুবই জনপ্রিয় ও পরিচিত একটি ফল। আম খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তোবা খুঁজে পাওয়া যাবে না। পাকা আম খেতে অধিক পরিমাণে মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ার কারণে সবাই আম খায়। আম যখন পরিপক্ক হয় বা পাকে তখন তার মধ্যে পুষ্টি গুনাগুন আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি হয়ে থাকে।
কিন্তু আমরা সকলেই পাকা আম খেতে পছন্দ করলেও পাকা আমের মধ্যে কি কি ভিটামিন থাকে সেটা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। তবে আমের মধ্যে কি কি ভিটামিন আছে সেটা জানা আমাদের জন্য অবশ্যই জরুরী। আপনাদের সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এখন আমরা আলোচনা করব পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে। নিচে পাকা আমের মধ্যে কি কি ভিটামিন রয়েছে সেটা বিস্তারিতভাবে পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করা হলো:
ভিটামিন এ: পাকা আম ভিটামিন এ এর প্রধান উৎস। পাকা আমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ পাওয়া যায়। তাই আমরা যদি আমাদের শরীরে ভিটামিন-এ এর চাহিদা পূরণ করতে চাই তাহলে পাকা আম খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও যারা ভিটামিন-এ এর অভাবজনিত সমস্যায় ভুগছেন তারা ভিটামিন-এ এর চাহিদা পূরণ করতে পাকা আম খেতে পারেন।
আমিষ: পাকা আমের মধ্যে আমিষ ও পাওয়া যায়। এটা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। তবে পাকা আম আমিষের একটি অন্যতম উৎসব। পাকা আম খেলে আমিষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়।
ক্যালোরি: পাকা আমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালরি থাকে। আমরা যদি আমাদের শরীরে ক্যালরির চাহিদা পূরণ করতে চাই তাহলে পাকা আম খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। পাকা আম খেয়ে খুব সহজেই ক্যালোরির চাহিদা পূরণ করা যায়।
পটাশিয়াম: পাকা আমের ভিতরে পটাশিয়াম ও রয়েছে। পটাশিয়াম আমাদের শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজন। তাই আমরা যদি শরীরে পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে চাই তাহলে পাকা আম খেতে পারি। পাকা আম পটাশিয়ামে ভরপুর।
বিটা ক্যারোটিন: আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ভিটামিন হলো বিটা ক্যারোটিন। পাকা আমের মধ্যে বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায়। সে কারণে শরীরে বিটা ক্যারোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পাকা আম খাওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় একটি নারীর জন্য কাঁচা আম খাওয়া অনেক উপকারী। কাঁচা আমের ভিতরে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা গর্ভবতী নারীর স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং তার ভ্রুনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থায় একটি নারীর অনেক পরিমাণে টক খাওয়ার ইচ্ছা করে। যার ফলে অনেকেই গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি করে কাঁচা আম খান। যা গর্ভবতী নারীর সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে। নিচে গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করা হলো
ভিটামিন সি: কাঁচা আম ভিটামিন সি এর প্রধান উৎস। কাঁচা আমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। গর্ভাবস্থায় একটি নারীর জন্য ভিটামিন সি অনেক প্রয়োজন। কাঁচা আম খেলে গর্ভবতী নারীর ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণ হয়। সেই সাথে অনাগত সন্তানেরও ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণ করা যায় গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম খেলে। তাই গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম খাওয়া উপকারী।
হজম শক্তি: কাঁচা আম হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। গর্ভবতী অবস্থায় অনেক মেয়েদের হজমে সমস্যা দেখা দেয়। কোন কিছু খেলেই সহজে সেটা হজম হতে চায় না। কাঁচা আম গর্ভাবস্থায় হজমের এই সমস্যা দূর করে। কাঁচা আমের মধ্যে এনজাইম থাকে। যা হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলে। তাই গর্ভাবস্থায় নারীর হজম শক্তি স্বাভাবিক রাখতে কাঁচা আম খাওয়া জরুরি।
ভিটামিন এ: কাঁচা আমের মধ্যে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় একটি মেয়ের জন্য ভিটামিন এ অত্যাধিক প্রয়োজন। তাই গর্ভাবস্থায় কাঁচা আম খেলে ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়। এছাড়াও কাঁচা আমে ভিটামিন এ থাকায় এটা ভ্রূণের চোখ ও ত্বকের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাঁচা আম খেলে ভ্রুনের বিকাশ স্বাভাবিকভাবে হয়।
ফাইবার: কাঁচা আমের মধ্যে ফাইবার থাকে। গর্ভাবস্থায় অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে দেখা যায়। এটি একটি স্বাভাবিক সমস্যা। তাই গর্ভবতী অবস্থায় কাঁচা আম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করা যায়। কারণ কাঁচা আমের মধ্যে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
ত্বক ও চুল: গর্ভবতী অবস্থায় একটি মেয়ের শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। যার ফলে ত্বক ও চুলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। কাঁচা আমের ভিতরে বিদ্যমান থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক ও চুলকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। সেজন্য গর্ভবতী অবস্থায় ত্বক ও চুলের যত্নে কাঁচা আম খাওয়া অনেক উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ: কাঁচা আমের মধ্যে উচ্চ মাত্রার ফাইবার থাকে। যা আমাদের শরীরকে ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেল থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই গর্ভবতী অবস্থায় কাঁচা আম খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেল থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
রক্তশূন্যতা: কাঁচা আমের মধ্যে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। এছাড়াও কাঁচা আম রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা দূর করতে কাঁচা আম খাওয়া উচিত। গর্ভবতী অবস্থায় একটি নারীর জন্য রক্তের অনেক প্রয়োজন। সেজন্য গর্ভবতী অবস্থায় রক্তশূন্যতা দূর করতে কাঁচা আম সহায়তা করতে পারে।
পাকা আম খেলে কি হয়
কাঁচা আমের তুলনায় পাকা আমের উপকারিতা অনেক বেশি। পাকা আমের মধ্যে কাঁচা আমের থেকে পুষ্টি গুনাগুন বেশি থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই সেটা জানিনা। পাকা আম খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। তাই সব বয়সের মানুষই পাকা আম খেতে অনেক পছন্দ করে। পাকা আম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। পাকা আম খেলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার হয়। পাকা আমের মধ্যে অনেক পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। তাই পাকা আম খেলে ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করা যায়। এছাড়াও যাদের শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি রয়েছে তারা পাকা আম খেলে এই ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পাকা আমের জুড়ী মেলা ভার। পাকা আম খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া পাকা আম আমাদের ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে। শরীরের চর্মরোগ প্রতিরোধ করতে পারে। পাকা আম খেলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়। পাকা আমের মধ্যে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। সে কারণে পাকা আম খেলে চোখে কম দেখা সমস্যা নিরাময় করা যায় এবং দৃষ্টিশক্তি দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে পাকা আম।
যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত তারা বেশ কিছুদিন ধরে পাকা আম খেলে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে পারবেন। অর্থাৎ পাকা আম খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়াও হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে পাকা আম খাওয়া প্রয়োজন। যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন তারা পাকা আম খেলে দুর্বল হজম শক্তিকে সবল করতে পারবেন। তাহলে হজমের কোন প্রকার সমস্যা থাকবে না।
পাকা আম আমাদের হার্ট ভালো রাখে এবং রক্ত পরিষ্কার করতে পারে। তাই সবদিক বিবেচনা করে বলা যায় পাকা আম খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক দিক থেকেই উপকার হয়। অর্থাৎ পাকা আম আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শিশুদের আম খাওয়ার উপকারিতা
শিশুদের আম খাওয়ানো অনেক উপকারী ও স্বাস্থ্যকর। শিশুদের আম খাওয়ালে তাদের শরীরের অনেক উপকার হয়। আমের মধ্যে অনেক পরিমাণে শর্কর, ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন ই থাকে। এগুলো ছাড়াও আমের মধ্যে পটাশিয়াম ও অসংখ্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই সকল পুষ্টি উপাদান শিশুদের শারীরিক বিকাশে সহায়তা করে। অর্থাৎ আম খেলে শিশুদের শারীরিক বিকাশ স্বাভাবিকভাবে হয়।
এছাড়াও আমের মধ্যে থাকা এসব পুষ্টি উপাদান শিশুদের খেলাধুলা করার শক্তি বাড়িয়ে তোলে। শিশুদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শরীরে পানির চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করতে সহায়তা করে। আম খেলে শিশুদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়। শিশুদের চোখে কোনরকম সমস্যার সৃষ্টি হয় না। সর্বোপরি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আম খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
অতএব সবদিক বিবেচনা করে শিশুদের জন্য আম খাওয়ার উপকারিতা অনেক। আপনি যদি একজন স্বাস্থ্য সচেতন অভিভাবক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার সন্তানের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় তাকে আম খেতে দিবেন।
দিনে কয়টি আম খাওয়া উচিত
আম খেতে আমরা সবাই কমবেশি পছন্দ করি। অনেকেই আবার অতিরিক্ত পরিমাণে আম খেয়ে থাকেন। আম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তবে অতিরিক্ত আম খেলে শরীরের কিছুটা ক্ষতিও হতে পারে। সেজন্য পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা একজন স্বাভাবিক মানুষকে দিনে দুই থেকে তিনটি আম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ একজন স্বাভাবিক মানুষের যে পরিমাণে পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন সেটা দুই থেকে তিনটি আমের মধ্যে থেকেই পাওয়া সম্ভব।
তাই সারাদিনে স্বাভাবিকভাবে একজন মানুষের দুই থেকে তিনটি আম খাওয়া উচিত। আবার অনেক পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা এটাও বলে থাকেন যে, একজন মানুষের শরীরের চাহিদা অনুযায়ী যতগুলো ইচ্ছা আম খেতে পারেন। কারণ সব মানুষের শরীরের পুষ্টির চাহিদা এক সমান হয় না। ভিন্ন ভিন্ন মানুষের শরীরে পুষ্টির চাহিদা আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। যার ফলে তারা তাদের শারীরিক পুষ্টির চাহিদা অনুযায়ী আম খেতে পারবেন।
তবে বেশিরভাগ পুষ্টিবিদগণ বলেন একজন স্বাভাবিক মানুষের জন্য গড়ে দুই থেকে তিনটি আম খাওয়াই যথেষ্ট। কিন্তু মানুষ ভেদে তার শরীরে পুষ্টির চাহিদা অনুযায়ী এই পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া কি নিরাপদ
গর্ভাবস্থায় অনেক নারী ভেবে থাকেন যে তার এই শারীরিক অবস্থায় আম খাওয়া কি নিরাপদ হবে। তাদের এই সমস্যার কথা চিন্তা করে পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলেন যে গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ। গর্ভবতী অবস্থায় আম খেলে সেটা গর্ভবতী নারীর শরীরের কোন ক্ষতি করে না। বরং গর্ভবতী নারীর জন্য আম খাওয়া অনেক উপকারী। গর্ভাবস্থায় একটি নারীর অনেক পরিমাণে পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। আমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, শর্করা ও আশ থাকে।
এই সকল পুষ্টি উপাদান একজন গর্ভবতী নারীর জন্য এবং তার অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অত্যন্ত প্রয়োজন। সেজন্য গর্ভাবস্থায় আম খেলে এই সকল পুষ্টি উপাদানের চাহিদা সঠিক মাত্রায় পূরণ করা যায়। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় আম খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। রক্তস্বল্পতা দূর হয়। সেই সাথে ভ্রুনের স্বাভাবিকভাবে বিকাশ ঘটে। তাছাড়াও গর্ভবতী অবস্থায় একটি মেয়ের হজমে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।
আম খেলে হজমের এই সমস্যা নিরাময় করা যায়। তাই গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া গর্ভবতী নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনেক উপকারী। পুষ্টিবিদরা গর্ভাবস্থায় আম খাওয়াকে উপকারী ও নিরাপদ হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন।
লেখক এর মন্তব্য
সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আমরা আর্টিকেলের একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আম খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে তথ্যমূলক আলোচনা করেছি। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় আম খাওয়ার উপকারিতা, শিশুদের জন্য আম খাওয়ার উপকারিতা, পাকা আম খেলে কি হয়, পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে তথ্য মূলক আলোচনা করেছি।
আশা করছি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে আপনি আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে ও জানতে পেরেছেন। আপনি যদি একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই নিজের পুষ্টি চাহিদা পূরণে আম খেতে পারেন এবং পরিবারের সবাইকে আম খাওয়াতে পারেন। এমন আরো শিক্ষণীয় আর্টিকেল পড়তে চাইলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।
আমরা প্রতিনিয়ত এমন তথ্যমূলক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সময় ব্যয় করে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য। আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লেগে থাকলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করতে পারেন।
আসিফ টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url